নতুন পোষ্টের বিজ্ঞপ্তি পেতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করুন!

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম


তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অন্য সকল নামাজের মতই। সকল নফল নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদের নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সবচেয়ে  বেশি।  যারা বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে, তাদের মধ্যে এক শ্রেণির লোক থাকবেন, যারা রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ব্যাপারে সাহাবিদের অনেক তাকিদ দিয়েছেন। এটি নফল ইবাদত, কিন্তু অন্যান্য নফল থেকে এর গুরুত্ব  বেশি। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজকে শ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন।  এই নামাজ আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করার উত্তম মাধ্যম।

তাহাজ্জুদ নামাজের সময়

এশার নামাজের পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় শুরু হয় এবং ফজর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজের সময় থাকে অর্থাৎ সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে আপনি এই নামাজ পড়তে পারবেন। তবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সবচেয়ে উত্তম সময় হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংশে। তখন পড়া সবচেয়ে উত্তম।

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

হযরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে ঘুমানোর জন্য বিছানায় আসল আর তার তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বার নিয়ত ছিল কিন্তু এমনই ঘুমাল যে, সে সকালে জাগ্রত হল, সে তার নিয়তের কারণে তাহাজ্জুদের সওয়াব লাভ করবে আর তার ঘুম আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে একটি পুরস্কার স্বরূপ। (নাসাঈ)

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদ পড়তে অভ্যস্ত, (কিন্তু কোন রাত্রে) ঘুমের আধিক্যের কারনে চোখ না খুলে, তবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য তাহাজ্জুদের সওয়াব লিখে দেন এবং তার ঘুম আল্লাহর পক্ষ হতে তার জন্য পুরস্কার স্বরূপ। অর্থাৎ তাহাজ্জুদ পড়া ছাড়াই (সে রাত্রে) সে তাহাজ্জুদের সওয়াব পেয়ে যায়। (নাসাঈ)

হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করছেন, আল্লাহ তায়ালা সে ব্যক্তির উপর রহমত নাযিল করুন, যে রাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ে, অতঃপর নিজ স্ত্রীকেও জাগ্রত করে এবং সেও নামাজ পড়ে। আর যদি (ঘুমের আধিক্যের কারনে) সে না উঠে তবে তার মুখের উপর হালকা পানির ছিটিয়ে দিয়ে জাগ্রত করে। এমনভাবে আল্লাহ তায়ালা সেই মহিলার উপর রহমত নাযিল করুন, যে রাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ে, অতঃপর নিজ স্বামীকে জাগ্রত করে এবং সেও নামাজ পড়ে। আর যদি সে না উঠে তবে তাহার মুখের উপর হালকা পানি ছিটিয়ে উঠিয়ে দেয়। (নাসাঈ)

ব্যাখ্যা: এই হাদীস সেই স্বামী স্ত্রীর জন্য যারা তাহাজ্জুদের আগ্রহ রাখে এবং এইভাবে একে অপরকে জাগ্রত করার দ্বারা তাদের মধ্যে মনমালিন্যতা সৃষ্টি না হয়। (মাআরিফে হাদীস)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদে (কোরআন থেকে) দশ আয়াত পড়ে সে ঐ রাত্রে গাফেলীনদের মধ্যে গণ্য হয় না। যে একশত আয়াত পড়ে সে এবাদতগুজারদের মধ্যে গণ্য হয়। আর যে একহাজার আয়াত পড়ে সে ঐ সকল লোকদের মধ্যে গণ্য হয় যারা কিনতার পরিমাণ সওয়াব লাভ করে। (ইবনে খুযাইমা)

হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, বার হাজার উকিয়াতে এক কিনতার হয় এবং প্রত্যেক উকিয়া জমিন আসমানের মধ্যবর্তী সমুদয় জিনিস হতে উত্তম। (ইবনে হিব্বান)

হযরত সাহল ইবনে সা'দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে হাজির হয়ে আরজ করলেন, হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনি যতদিন জীবিত থাকুন না কেন একদিন মৃত্যু আসবেই। আপনি যা ইচ্ছা আমল করুন তার বদলা বা বিনিময় আপনাকে দেওয়া হবে। যাকে ইচ্ছা মহব্বত করুন অবশেষে একদিন পৃথক হতে হবে। জানিয়া রাখুন, মুমিনের বুযুর্গী তাহাজ্জুদ পড়ার মধ্যে, আর মুমিনের সম্মান লোকদের হতে অমুখাপেক্ষী থাকার মধ্যে। (তাবারানী, তরগীব)

হযরত আবু মালেক আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন জান্নাতে এরূপ বালাখানা রয়েছে, যার ভিতরের জিনিস বাহির হতে এবং বাহিরের জিনিস ভিতর হতে দেখা যায়। এই সকল বালাখানা আল্লাহ তায়ালা ঐ সকল লোকের জন্য প্রস্তুত করেছেন যারা লোকদেরকে খানা খাওয়ায়, বেশি পরিমাণে সালাম প্রচার করে এবং রাত্রে এমন সময় নামায পড়ে যখন লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে। (ইবনে হিব্বান)

হযরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তি এমন আছে যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা মহব্বত করেন এবং তাদেরকে দেখে অত্যন্ত খুশী হন, তন্মধ্যে একজন সেই ব্যক্তি যে জেহাদে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য একাই লড়াই করতে থাকে যখন তার সমস্ত সাথী ময়দান ছেড়ে চলে যায়। অতঃপর সে হয়ত শহীদ হয়ে যাবে অথবা আল্লাহ তায়ালা তাকে সাহায্য করবেন এবং তাকে জয়যুক্ত করবেন। আল্লাহ তায়ালা (ফেরেশতাদেরকে) বলেন, আমার এই বান্দাকে দেখ, আমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিভাবে ময়দানে দৃঢ়পদ রয়েছে। দ্বিতীয় সেই ব্যক্তি যার পার্শ্বে সুন্দরী স্ত্রী রয়েছে এবং উত্তম ও নরম বিছানা রয়েছে তরপরেও সে (এইসব ছেড়ে) তাহাজ্জুদে মশগুল হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, দেখ, নিজের খাহেশকে ত্যাগ করতেছে আর আমাকে স্মরণ করতেছে। ইচ্ছা করলে সে ঘুমিয়ে থাকতে পারত। তৃতীয় সেই ব্যক্তি যে সফরে কাফেলার সথে রয়েছে। কাফেলার লোকজন অধিক রাত্র জাগ্রত থাকায় ঘুমিয়ে পড়েছে, আর এই ব্যক্তি মনের ইচ্ছায় অনিচ্ছায়—সর্বাবস্থায় তাহাজ্জুদের জন্যে উঠে দাঁড়ায়। (তাবারানী, তরগীব)

হযরত আবু উমামা বাহেলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তাহাজ্জুদ অবশ্যই পড়িও। তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেক লোকদের তরীকা। আর এর দ্বারা তোমাদের আপন রবের নৈকট্য লাভ হবে, গুনাহ মাফ হবে এবং গুনাহ হতে বেঁচে থাকবে। (মুসতাদরাকে হাকেম)

হযরত আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রাত্রের নফল নামাজ দিনের নফল নামাজ হতে এরূপ উত্তম যেরূপ গোপন সদকা প্রকাশ্য সদকা হতে উত্তম। (তাবারানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)

হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, রমযানুল মোবারকের পরে সর্বাপেক্ষা উত্তম রোযা মাহে মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বাপেক্ষা উত্তম নামায রাত্রের নামায। (মুসলিম)

হযরত ইয়াস ইবনে মুআবিয়া মুযানী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তাহাজ্জুদ অবশ্যই পড় যদিও বকরীর দুধ দোহন পরিমাণ এত অল্প সময়ের জন্যই হউক না কেন। আর এশার পর যে নামাজই পড়া হবে তা তাহাজ্জুদের মধ্যে গণ্য হবে। (তাবরানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)

ব্যাখ্যা : ঘুম হইতে জাগ্রত হবার পর যে নামাজ পড়া হয় তাকে তাহাজ্জুদ বলে। কোন কোন ওলামায়ে কেরামের কাছে এশার পর ঘুমাবার পূর্বে যে নফল পড়া হবে তা তাহাজ্জুদ। (এলাউস সুনান)

হযরত ওকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই এরশাদ করতে শুনেছি যে, আমার উম্মতের দুই ব্যক্তির মধ্যে এক ব্যক্তি রাত্রে উঠে এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিজেকে অজুর জন্য প্রস্তুত করে, কারণ তার উপর শয়তানের গিরা লাগিয়া থাকে। যখন সে অজুর মধ্যে নিজের উভয় হাত ধৌত করে তখন একটি গিরা খুলে যায়। যখন চেহারা ধৌত করে তখন দ্বিতীয় গিরা খুলে যায়, যখন মাথা মাসাহ করে তখন আরও একটি গিরা খুলে যায়, যখন পা ধৌত করে তখন আরও একটি গিরা খুলে যায়। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে যারা মানুষের দৃষ্টির অন্তরালে রয়েছেন, বলেন, আমার এই বান্দাকে দেখ, সে কেমন কষ্ট সহ্য করতেছে, আমার এই বান্দা আমার নিকট যা চাইবে তা সে পাবে। (মুসনাদে আহমাদ আল ফাতহুর রাব্বানী)

হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমাদের কেহ যখন শয়ন করে তখন শয়তান তার ঘাড়ের উপর তিনটি গিরা লাগিয়ে দেয়। প্রত্যেক গিরাতে সে এই বলে ফুঁ দেয় যে, এখনও রাত অনেক বাকি আছে, ঘুমাতে থাক। মানুষ যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহ তায়ালার নাম উচ্চারণ করে তবে একটি গিরা খুলে যায়। আর যদি অজু করে লয় তবে দ্বিতীয় গিরাও খুলে যায়। অতঃপর যদি তাহাজ্জুদ পড়ে তবে সমস্ত গিরাগুলো খুলে যায়। অতএব সকালবেলা সে অত্যন্ত সতেজ মন ও হাসিখুশী থাকে। তার অনেক বড় কল্যাণ লাভ হয়ে থাকে। আর যদি তাহাজ্জুদ না পড়ে তবে সে অলস ও ভারাক্রান্ত থাকে এবং অনেক বড় কল্যাণ হইতে বঞ্চিত হয়ে যায়। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল?

তাহাজ্জুদ নামাজ একটি নফল ইবাদত। যদিও এটি নফল ইবাদত, কিন্তু এর গুরুত্ব অনেক বেশি। সকল নফল ইবাদতের মধ্যে এটি শ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত। এই নফল ইবাদতের মাধ্যমেই আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়া যায়। আল্লাহর সকল প্রিয় বান্দারা প্রিয় হয়েছেন এই তাহাজ্জুদ পড়ার মাধ্যমে। কোন ব্যক্তি আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে চাইলে অবশ্যই তাকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হবে। দুনিয়া ও আখেরাতে সফলার চাবি এই তাহাজ্জুদ নামাজের মধ্যে রয়েছে। 

তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত

তাহাজ্জুদ নামাজের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। দুই রাকাত থেকে বারো রাকাত পর্যন্ত পড়তে পারেন। ইচ্ছে করলে বারো রাকাত থেকেও বেশি পড়তে পারবেন। কমে দুই রাকাত পড়া, বেশির কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই। তবে দুই দুই রাকাত করে পড়তে হবে, যত রাকাত ইচ্ছে।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত

নিয়ত অর্থ এরাদা করা বা সংকল্প করা। নামাজের নিয়ত আরবিতে করতে হবে এরকমটা না। নিয়ত আরবিতে বা বাংলাতে করা যায়। আপনি তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য দাড়িয়েছেন এটাই নিয়ত। তার পরেও আপনি ইচ্ছে করলে মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করতে পারবেন। নিয়তটা এভাবে হবে “আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নফল নামাজ আদায় করতেছি”। এতটুকু বলে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধতে হবে। তবে ইচ্ছে করলে আপনি আরবিতেও নিয়ত করতে পারেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত

তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত



তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ

নাওয়াই তুআন্ উসাল্লিয়া রাকায়াতি আত তাহাজ্জুদ আল্লাহু আকবার 

অর্থ: দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করলাম

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

১। প্রথমে নিয়ত করা যে,“আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নফল নামাজ আদায় করতেছি” আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধতে হবে।

২।  এবার ছানা পড়তে হবে।

৩। তারপর আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।

৪। সূরা ফাতিহা শেষ করার পর যেকোন একটি সূরা পাঠ করবেন।

৫। তারপর আল্লাহু আকবার বলে রুকু করতে হবে এবং রুকু হতে উঠার সময় পড়বেন “সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ্” এবং সোজা হয়ে দাড়িয়ে পড়বেন “রব্বানা লাকাল হামদ”। তারপর সিজদা করতে হবে এবং সিজদার তাসবি পড়বেন তিন, পাঁচ অথবা সাতবার।

৬। দু্ই সিজদার পর আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে যেতে হবে। এভাবে প্রথম রাকাত শেষ হবে।

৭। এবার দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং তার সাথে আরেকটি সূরা পড়বেন এবং আগের নেয় রুকু এবং দুই সিজদা করে বসতে হবে।

৮। বসে তাশাহুদ, দুরুদ এবং দোয়া মাসুরা পড়তে হবে। তারপর দুইদিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন। 

এভাবে দুই দুই রাকাত করে বারো রাকাত বা আরও বেশি রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারবেন। 

তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর

প্রশ্ন: তাহাজ্জুদ নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়?

উত্তর: এই নামাজের কোন নির্দিষ্ট সূরা নেই। আপনি যেকোন সূরা দিয়ে এই নামাজ পড়তে পারবেন।

প্রশ্ন: তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত পড়তে হয়?

উত্তর: তাহাজ্জুদ নামাজ কমে দুই রাকাত এবং উপরে বারো রাকাত। তবে ইচ্ছে করলে আপনি আরও বেশি পড়তে পারবেন।

প্রশ্ন: তাহাজ্জুদ নামাজের সেজদায় দোয়া করা যাবে?

উত্তর: হ্যা এই নামাজের সেজদায় দোয়া করতে পারবেন। তবে আরবিতে দোয়া করতে হবে এবং কোরআন ও হাদিসের মধ্যে যে দোয়াগুলো রয়েছে সেইগুলো সেজদায় পড়তে পারবেন। বাংলা ভাষায় বা আরবি ভাষায় নিজ থেকে বানিয়ে দোয়া করা যাবে না। এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

প্রশ্ন: মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম কি?

উত্তর: মহিলারা অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়ে, ঠিক সেভাবেই তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বে।

আরও পড়ুন: বিতর নামাজের নিয়ম ও বিতর নামাজের দোয়াকুনুত

About the Author

আমাদের এই ওয়েব সাইটে জানা ও অজানা, ভ্রমণ, রেসিপি, পুষ্টি, স্বাস্থ্য পরামর্শ, বিভিন্ন প্রাকারের হিসাব নিকাশ ও আবেদন, ভূমি জরিপ এবং দৈনন্দিনের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য দিয়ে থাকি। এই সকল তথ্যগুলো নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে কালেক্ট করা হয়।
কুকি সম্মতি
এই ওয়েবসাইটটি আপনাকে একটি ভালো ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা দিতে কুকিজ ব্যবহার করে। আমাদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে, আপনি কি কুকিজ ব্যবহারে সম্মত আছেন?
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.