নতুন পোষ্টের বিজ্ঞপ্তি পেতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করুন!

হাজী বিরিয়ানি রেসিপি, এবার ঘরেই তৈরি করুন সুস্বাদু হাজী বিরিয়ানি

পুরান ঢাকার হাজী বিরিয়ানি
হাজী বিরিয়ানি

বিরিয়ানি শব্দটি সুদূর পারস্য থেকে এসেছে। বিরিয়ানি ফার্সি শব্দ 'বিরিয়ান' এবং 'বিরিঞ্জ' থেকে উৎপত্তি হয়েছে। বিরিয়ান শব্দের অর্থ রান্নার আগে ভাজা। আর বিরিঞ্জ মানে চাল। বিরিয়ানি রান্নার আগে সুগন্ধি চাল ঘি দিয়ে ভাজা হয় বলে এর নামকরণ করা হয়েছে বিরিয়ানি। চলুন ঘরে বসেই তৈরি করে ফেলি বিখ্যাত হাজী বিরিয়ানি। 

একনজরে দেখে নেয়া যাক কি কি উপকরণ লাগবে হাজী বিরিয়ানি রান্না করতে।

উপকরণ সমূহ: 

১। খাসির মাংস ২ কেজি (ছোট ছোট করে কাটা)।
২। পোলাউর চাউল ১ কেজি (পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে, তারপর ভালোভাবে ধুয়ে পানিটুকু সম্পূর্ণ শুকিয়ে ফেলতে হবে এবং একটি কাপ দিয়ে মেপে নিতে হবে কত কাপ চাউল হচ্ছে)।
৩। পেয়াজ বাটা ১ কাপ এবং পেয়াজ কুচি ১ কাপ।
৪। পেয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ।
৫। রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ।
৬। আদা বাটা ৩ টেবিল চামচ।
৭। তেজপাতা ৪টি।
৮। টক দই ১ কাপ। 
৯। খাটি সরিষার তৈল ৩০০ গ্রাম।
১০। আলুবোখারা ৮টি। 
১১। এলাচি ৫টি।
১২। দারুচিনি ৪ টুকরা।  
১৩। জয় ফল অর্ধেক গুঁড়া।
১৪। গরম মসলা গুড়া ২চা চামচ।
১৫। লবঙ্গ ৬টি।
১৬। জিরা গুড়া ১চা চামচ।
১৭। কাঁচা মরিচ ৮টি এবং মরিচেরগুঁড়া ১চা চামচ।
১৮। লবণ পরিমান মত।


প্রথমে মাংসটাতে রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, পরিমানমত লবণ, মরিচের গুঁড়া, সামান্য সরিষার তেল মাখিয়ে ১ থেকে ২ ঘন্টা রেখে দিন। এবার একটি পাতিলে সরিষার তেল দিয়ে গরম করুন এবং তেজপাতা, দারুচিনি, পেঁয়াজকুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। পেঁয়াজগুলো যাতে পুড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন এবং পেঁয়াজগুলো একটু ভাজার পরেই মেরিনেট করা মাংসটা দিয়ে দিন। মাংসটাকে কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। তারপর তাতে ১চা চামচ গরম মসলাগুঁড়া দিয়ে দিন। একটু নড়াচাড়া করে ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পরে ঢাকনাটা উঠিয়ে একটু নাড়াচাড়া করুন। যদি মাংস থেকে পর্যাপ্ত পানি উঠে তাহলে পানি দিতে হবে না। আর যদি পানি না উঠে তাহলে মাংসটা সিদ্ধ হয় সেই অনুমানে পানি দিয়ে মাংসটা রান্না করুন। মাংসটা একটু সিদ্ধ হয়ে আসলে তাতে বাকি মসলাগুলো দিয়ে দিন। মাংসটা রান্না হয়েগেলে একটি ছাকনি দিয়ে মাংসটা উঠিয়ে নিন এবং পাতিলে যে ঝোলটা রয়েছে তাতে পোলাউর চাউলগুলো দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে। তারপর রান্নাকরা মাংসটা তাতে দিয়ে দিন এবং আরও একটু ভেজে নিন। এবার যত কাপ চাউল হয়েছে তার দ্বিগুনের থেকে এক কাপ কম গরম পানি দিন (অর্থাৎ চাউল ৪ কাপ হলে গরম পানি ৭ কাপ দিন। ঠাণ্ডা পানি দেয়া যাবে না, তাতে স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে) এবং একটু নাড়াচাড়া করে তাতে টক দই, আলুবোখারা, স্বাদমত লবণ, কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। এবার চুলার আচ একদম কমিয়ে বা চুলার উপর লোহার পুরাতন তাওয়া দিয়ে উপরে পাতিলটা বসিয়ে ৩০ মিনিটের মত রাখতে হবে এবং মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে। যদি দেখেন পানি শুকিয়ে গেছে কিন্তু চাউল এখনো ফুটেনি তাহলে পাতিলের চারপাশ দিয়ে একটু গরম পানি দিন। গরম গরম নামিয়ে পরিবেশন করুন এবং ভেজে রাখা পেয়াজ বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন। হয়ে গেল সুস্বাদু হাজীর বিরিয়ারি রেসিপি। 

আরও পড়ুন: কেএফসির চিকেন রেসিপি ঘরেই তৈরি করুন

About the Author

আমাদের এই ওয়েব সাইটে জানা ও অজানা, ভ্রমণ, রেসিপি, পুষ্টি, স্বাস্থ্য পরামর্শ, বিভিন্ন প্রাকারের হিসাব নিকাশ ও আবেদন, ভূমি জরিপ এবং দৈনন্দিনের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য দিয়ে থাকি। এই সকল তথ্যগুলো নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে কালেক্ট করা হয়।
কুকি সম্মতি
এই ওয়েবসাইটটি আপনাকে একটি ভালো ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা দিতে কুকিজ ব্যবহার করে। আমাদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে, আপনি কি কুকিজ ব্যবহারে সম্মত আছেন?
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.