ডিগ্রি বা ফাজিল উপবৃত্তি প্রাপ্তির কিছু শর্তাবলি :
১. উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীকে ডিগ্রী (পাস)/ফাজিল পর্যায়ে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে।
২. নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকতে হবে।
৩. উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে।
৪. অভিভাবক/পিতামাতার মোট জমির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ০.০৫ (পাঁচ) শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ (পঁচাত্তর) শতাংশের কম জমি থাকতে হবে।
৫. কোন শিক্ষার্থী সর্বশেষ পরীক্ষায় সকল বিষয়ে পাশ না করলে উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে না।
৬. এই সফটওয়্যারটিতে স্নাতক (অনার্স) এর কোন শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে না।
৭. শতকরা ৮০% ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
ডিগ্রি উপবৃত্তি সংক্রান্ত আপডেট সকল নোটিশ এখানে পাবেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট
বি:দ্র: সকল তথ্য আগে ভালোভাবে পড়েনিন, তারপর আবেদন করুন। সকল তথ্য ইংরেজিতে দিতে হবে।
ডিগ্রি অথবা ফাজিল উপবৃত্তির জন্য যা যা লাগবে
১) ডিগ্রি বা ফাজিলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর।
২) এইচএসসি বা আলিমের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং ফলাফল।
৩) শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
৪) বাবা ও মায়ের NID কার্ডের ফটোকপি।
৫) বাবা-মা ছাড়া অন্য কাউকে অভিভাবক দিলে সেই ব্যাক্তির NID কার্ডের ফটোকপি।
৬) বাবা অথবা মায়ের NID দিয়ে রেজিস্ট্রিকৃত সিম এবং তাদের NID দিয়ে বিকাশ বা নগদ অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর। অথবা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর (স্টোডেন্ট একাউন্ট হতে হবে বা শিক্ষার্থী প্রাপ্ত বয়স্ক হলে নিজের নামে সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর)।
৭) শিক্ষার্থীর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
ডিগ্রি উপবৃত্তি
নিচে দেয়া লিংকের মাধ্যমে ডিগ্রি বা ফাজিল উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে। এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে এবং সবার উপরের ডান দিকের ইংরেজি/বাংলা অপশন থেকে বাংলা ভাষাটি সিলেক্ট করুন এবং ছবিতে মার্ক করা নিবন্ধন আইকনের স্থানে ক্লিক করে প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে।
নিবন্ধন লিংক https://estipend.pmeat.gov.bd/#/
স্নাতকের ধরন থেকে আপনি যদি ডিগ্রী (পাস) হয়ে থাকেন, তাহলে ডিগ্রী পাস সিলেক্ট করুন। আর যদি আপনি ফাজিল শ্রেণির শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে ফাজিল আইকনে সিলেক্ট করুন। তারপর শিক্ষাবর্ষ সিলেক্ট করুন। “প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্তি” থেকে আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারে পড়েন সেই বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করুন। ডিগ্রী হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করুন এবং ফাজিল হলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করুন। যদি আপনার প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে হয়ে থাকে তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করুন। স্নাতক রেজিস্ট্রেশনের ঘরে আপনার ডিগ্রী অথবা ফাজিলের রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি দিতে হবে এবং এইচএসসি রেজিস্ট্রেশন ঘরে এইচএসসি রেজি: নম্বর দিতে হবে, মাদরাসার শিক্ষার্থী হলে আলিম রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিতে হবে। এবার এইচএসসি বা আলিমের রোল নম্বর দিতে হবে। মোবাইলের ঘরে যেকোন একটি মোবাইল নম্বর দিন। I'm not a robot এই ঘরটি সিলেক্ট করুন এবং ছবি আসলে , সেই ছবিতে যা সিলেক্ট করতে বলেছে সেরকম সবগুলো ছবি সিলেক্ট করুন এবং ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করুন। আর যদি ছবি না আসে তাহলে নিবন্ধন বাটনে ক্লিক করুন। আপনার নিবন্ধন সম্পূর্ণ হলে আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে বলবে, সেখানে কমে ছয় সংখ্যার পাসওয়ার্ড দিতে হবে এবং সেইভ দিন। আপনার নিবন্ধনের কাজ শেষ।
ডিগ্রি বা ফাজিল উপবৃত্তির আবেদন
এবার শিক্ষার্থীর লগইন অপশনটি সিলেক্ট করুন এবং আপনার ডিগ্রী অথবা ফাজিলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং পূর্বের দেয়া ছয় সংখ্যার পাসওয়ার্ডটি দিয়ে I'm not a robot টিক দিয়ে লগিন বাটনে ক্লিক করে লগিন করুন।
আবেদন করুন অপশনে ক্লিক করে আবেদন শুরু করতে হবে। প্রথমে এইচএসসি বা আলিম পরীক্ষার তথ্য দিতে হবে এবং সকল তথ্য ইংরেজিতে দিতে হবে। রোল, রেজিস্ট্রেশন ও জিপিএ দিতে হবে। উদাহরণ সরুপ এইচএসসি বা আলিম পরীক্ষার পাসের বর্ষ যদি ২০২০ হয়, তাহলে শিক্ষা বর্ষ হবে ২০১৮-২০১৯ অর্থাৎ এইচএসসি বা আলিম পাসের আগের দুই বছর হবে শিক্ষা বর্ষ। এবার বিভাগ ও বোর্ড সিলেক্ট করুন। এইচএসসি বা আলিম পরীক্ষার তথ্য দেয়া হয়েগেলে সংরক্ষণ করুন এবং চালিয়ে যান বাটনে ক্লিক করুন।
এবার “ডিগ্রি” অপশনে ডিগ্রি বা ফাজিল ১ম বর্ষের তথ্য দিতে হবে। গ্রুপ BA দিতে হবে। কলেজ এবং মাদরাসা উভয় শিক্ষার্থীদের গ্রুপ BA হবে। আগে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের গ্রুপ BTIS ছিলো, কিন্তু এখন গ্রুপ BA করা হয়েছে। এখানে শিক্ষাবর্ষের প্রথম বছরটি হবে ভর্তির বছর। আপনার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে যদি সেশন ২০২০-২১ হয় তাহলে ভর্তির বছর হবে ২০২০। যদি সেশন ২০২১-২২ হয় তাহলে ভর্তির বছর হবে ২০২১। প্রতিষ্ঠানের নাম, জেলা ও উপজেলা দিয়ে সংরক্ষণ করুন এবং চালিয়ে যান অপশনে ক্লিক করুন।
এবার ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্যের ঘরে জাতীয় পরিচয় পত্র যদি থাকে দিবেন, নাদিলেও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক দিতে হবে। একাউন্টের ধরণ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং নাকি ব্যাংক তা সিলেক্ট করতে হবে। যদি মোবাইল ব্যাংকিং হয়ে থাকে তাহলে একাউন্ট ধারীর নাম হবে যার নামে মোবাইল ব্যাংকিংটি রয়েছে। আপনার বাবার এনআইডি দিয়ে একাউন্ট খুলা থাকলে একাউন্ট ধারীর নামের ঘরে আপনার বাবার নাম দিতে হবে এবং মায়ের এনআইডি দিয়ে বিকাশ বা নগদ একাউন্ট হয়ে থাকলে আপনার মায়ের নাম দিতে হবে। নিজের মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর না দেয়াই ভালো।
আপনার অভিভাবকের এনআইডি কার্ডে যেভাবে নামটি রয়েছে ঠিক সেইভাবে একাউন্ট ধারীর নামের ঘরে দিতে হবে। “একাউন্ট ধারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর” এই ঘরে আপনি যার মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরটি ব্যবহার করেছেন তার এনআইডি নম্বরটি দিন। “মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট নম্বর” ঘরে বিকাশ বা নগদ একাউন্ট রয়েছে সেই মোবাইল নম্বরটি দিন।
জন্ম তারিখ ঘরে শিক্ষার্থীর জন্ম তারিখ দিতে হবে। পোস্ট কোড এনআইডি কার্ডের পেছনে দেয়া রয়েছে সেটি দিতে হবে। বাকি তথ্যগুলো দিয়ে সংরক্ষণ করুন এবং চালিয়ে যান বাটনে ক্লিক করুন।
এখন অভিভাবকের তথ্য দিতে হবে। এখানে অভিভাবক সেই ব্যক্তি হবে যার বিকাশ বা নগদ একাউন্ট নম্বর ব্যবহার করেছেন। বাবার একাউন্ট নম্বর ব্যবহার করলে অভিভাবক বাবা হবে এবং মায়ের একাউন্ট নম্বর ব্যবহার করলে এখানে অভিভাবক মা হবে। অভিভাবকের সাথে আপনার সম্পর্ক সিলেক্ট করতে হবে এবং বাকি তথ্যগুলো ফিলাপ করুন। পরিবারের মোট ভূমির পরিমাণ ০.৭৫ শতকের নিচে হতে হবে, না হয় আপনি উপবৃত্তির আওতাভুক্ত নন বলে বিবেচিত হবেন। সকল তথ্য দেয়ার পর সংরক্ষণ করুন এবং চালিয়ে যান বাটনে ক্লিক করুন।
এবার ছবি অপশনে শিক্ষার্থীর ৩০০*৩০০ মেগা পিক্সেল এবং ১০০ কেবির কম রেজুলেশনের একটি ছবি আপলোড দিতে হবে। ছবির সাইজ ঠিক করার জন্য প্লেস্টোরে অনেক এপস পাবেন, সেখান থেকে একটি এপস নামিয়ে নিন। ছবি আপলোড হলে সংরক্ষণ করুন এবং চালিয়ে যান বাটনে ক্লিক করুন।
এবার আপনার সম্পূর্ণ আবেদনটি এক নজরে দেখাবে। কোথাও কোন ভুল রয়েছেকিনা ভালোভাবে দেখে নিন। একবার সাবমিট করার পর আর কোন সংশোধন করা যাবে না।
সতর্কতা: কনফার্ম করার আগে অবশ্যই আপনার তথ্য সঠিক আছেকিনা যাচাই করেনিন। একবার কনফার্ম করে ফেললে আর এডিট করতে পারবেন না।
রেফারেন্স: প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট