শীতে গরম পানিতে গোসল

গরম পানিতে গোসল

শীত মানে কি পানিকে এড়িয়ে চলা? অনেকে শুধু হাত-মুখ ধোয়ার জন্য পানির সংস্পর্শে আসে। অনেকেরই শীতে কয়েক সপ্তাহ গোসল না করার রেকর্ড রয়েছে। স্ট্যাটাসগুলি প্রায়ই ফেসবুকে দেখা যায়, এত দিন পরে গোসল করা হলো! যদি কেউ গোসল করার কথা মনেও করে, তার জন্য ফুটন্ত গরম পানি দরকার। কিন্তু শীতকালে গরম পানিতে স্নান করা কি ঠিক? পানি কতটা গরম হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অধ্যাপক আফজালুল করিম, চর্মরোগ বিভাগ, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল।

 

আফজালুল করিম বলেন, ‘শীতের সময় গরম পানিতে গোসল করতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সেটা যেনো বেশি গরম না হয়। যারা গরম পানি দিয়ে গোসল করেন তারা অবশ্যই হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন। অধিক গরম পানি দিয়ে গোসল করা শরীরের ত্বকে প্রভাব ফেলে। ত্বক রুক্ষ হয়ে যাবে। এজন্য আপনাকে গোসলের পর লোশন ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি গরম পানি দিয়ে গোসলের সময় আর্দ্র সাবান ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ত্বক স্বাভাবিক থাকবে। যদি নিয়মিত গরম পানি মাথায় দেওয়া হয়, তাহলে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অতএব, গোসলের সময় ময়শ্চারাইজিং শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধোলে আপনার চুলের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। চুল পরিষ্কার থাকবে।

”শীতের দিনে দুপুরে গোসল করতে পারলে অনেকটা কম ঠান্ডা অনুভব হয়” বললেন ঢাকার ইগলক জিম ফিটনেস বিশেষজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, ব্যায়ামকারীদের জন্য ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল না করাই ভালো। কারণ খুব বেশি ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে মাংসপেশিকে সংকুচিত করে দেয়। ব্যায়ামের পরে, যদি আপনি হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করেন, তাহলে পেশী ঠিক থাকবে। অনেক পার্লার বা জিমে স্টিম বাথের সিস্টেম রয়েছে, যা শীতকালীন গোসলে আরামদায়ক। শীতে অনেক ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়। বাতাসের ধুলো শরীরে লেগে থাকলে তা ত্বকের ক্ষতি করে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কিছু নিয়ম মেনে চললে গরম পানিতে গোসল করলেও সমস্যা নেই:

ব্যায়াম করার পর ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন, তারপর হালকা কুসুম পানিতে গোসল করুন।

➤ বেশি গরম পানিতে গোসল করলে বেশি আরাম লাগে, এমনটি করবেন না।

➤ গোসলখানায় গিজারের ব্যবস্থা থাকলেও ৩০-৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার পানিতে গোসল করুন।

 

রেফারেন্স:

দৈনিক প্রথমআলো